কাঁচা হলুদের ১০ টি বিস্ময়কর স্বাস্থ্যগত উপকারীতা
১.অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলেঃবেশ কিছু গবেষণাই দেখা গেছে যে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেতে শুরু করলে শরীরে বেশ কিছু উপাদানের মাত্রা বারতে থাকে। যার প্রভাব এ হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে।আর একবার মেটেলিজম রেট বেড়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়াও তরান্বিত হয়।তবে এইখানেই শেষ নয়,হলুদে কারকিউমিন নামের একটি উপাদান থাকে ,যা শরীরে উপস্থিত ফ্যাট সেলদের গলানোর মধ্যে দিয়ে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২.লিভার টনিক হিসেবে কাজ করেঃলিভারকে চাঙ্গা এবং কর্মক্ষম রাখতে হলুদের কোন বিকল্প হইনা বললেই চলে।কারন এর মধ্যে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদানটি লিভারের কর্মক্ষমতা এতটাই বারিয়ে দেই যে ,কোন ধরনের লিভারের রোগ ওই ধারের কাছে ভিরতে পারে না ।এমনকি ফ্যাটি লিভারের মত রোগের আক্রান্ত হওয়ার আশংকা ও কমে।শুধু তাই নই,হলুদে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান লিভারে জমে থাকা বজ্র পদার্থ বের করে দিতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে।ফলে লিভারের কোন প্রকার ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে না।
৩. ত্বকের সুন্দর্য বাড়ায়ঃনিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ খেলে ত্বকের ভেতরে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়া যায় ।সেই সঙ্গে কলাজনের উপাদান বেড়ে জায়।ফলে ত্বক এত পরিমানে উজ্জ্বল হয় এবং প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠে যে বলি রেখা কমতে শুরু করে ।সেই সঙ্গে ব্রন , অকনে এবং কালো ছোপের মত সমস্যাও কমতে শুরু করে।একথাই শীতকালেও যদি ত্বকের সোন্দরজ ধরে রাখতে চান ,তাহলে আজ থেকেই হলুদ খাওয়া শুরু করুন।দেখবেন উপকার অবশ্যই মিলবে।প্রসঙ্গত বেশ কিছু গবেষণাই দেখা গেছে ।আকজিমার মতো ত্বকের রগের চিকিৎসাতেও হলদি দুধ বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে।
৪.হাঁচি -কাশি হওয়ার আশঙ্কা কমেঃহলুদে উপস্থিত অ্যান্টি -ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রোপারটিজ একদিকে যেমন নানাবিধ সংক্রমনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায় তেমনি এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রোপারটিজ রেস্পিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশন এবং সর্দি -কাশির প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।এই কারণেই বছরের একটা সময় বাচ্চাদের নিয়মিত হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।বিশেষ করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।
৫.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে ওঠেঃ শীতকালে আমরা এত অসুস্থ হয়ে পরি কেন জানেন?নানা কারনে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পরে।তাই তো নানা রোগ আমাদের ঘারে চেপে বসে।এই কারণেই তো নিয়মিত হলুদ খাওয়ার পরামশ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা ।আসলে এই পানীয়টিতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক শক্তিশালী করে তোলে।ফলে কোন রোগই ধারের কাছে ঘেষতে পারে না।
৬.পিরিয়ডের কষ্ট কমায়ঃ মাসের এই বিশেষ সময়ে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।যা কোন কোন সময়ে এতটাই কষ্টকর হয় যে সহ্যের বাইরে চলে জায়।এমন পরিস্থিতি তে যদি অল্প করে হলুদ খেয়ে নেউয়া জায়,তাহলে কিন্তু দারুন উপকার মিলে।কারণ এই প্রাকিতিক উপাদান্টিতে উপস্থিত আছে অ্যান্টি -ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা পিরিয়ড সঙ্ক্রান্ত কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭.মাথার যন্ত্রণা কমায়ঃ এবার থেকে মাথা যন্ত্রণা হলেই এক কাপ হলুদ মেশানো দুধ খেয়ে নিবেন।দেখেবেন কষ্ট কমতে একেবারেই সমই লাগবে না ।কারণ হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের ভেতরের যন্ত্রণা কমায়।ফলে মাথা যন্ত্রণা কমতে সময় লাগে না।প্রসঙ্গত শুধু মাথার যন্ত্রণা নয় ,যে কোন ধরণের বেথা কমাতেই এই পানীয়টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে শীতকালে চোট -আঘাত লাগার সম্ভবনা বেশি থাকে।তাই এই সময় হলুদ দুধের সাথে বন্ধুত্ত বারানো উচিত।
৮.হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়ঃ একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত হলুদ খাওয়া শুরু করলে হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায় ।ফলজায়। বদহজমের আশঙ্কা কমে যায়।সেই সঙ্গে গ্যাস অ্যা ম্বল এবং এসিড রিফ্লাক্সের মত সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।প্রসঙ্গত গাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ইনফেকশন কমাতেও এই পানীয় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৯. শরীরের ভেতরে প্রবাহের মাত্রা কমায়ঃ দেহের ভেতরে প্রদাহের মাত্রা বারতে শুরু করলে শরীরে প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে ।সেই সঙ্গে মাথা চারা দিয়ে ওঠে নানা রোগ।তাইতো এমনটা জাতে কোন সময় না হয়,সেদিকে খেয়াল রাখা অততমাত্রাই অ্যান্টি -ইনফ্লেমেটরি উপাদান,যা প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
১০.রক্তকে বিষ মুক্ত করেঃ শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে হলুদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির মধ্যে থাকা কারকিউমিন রক্তে উপস্থিত টক্সিন বের করে দেয়।ফলে ব্লাড ভেসেলের কোন ধরণের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তো কমেই সেই সঙ্গে কান্সার সহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও হ্রাস পাই।
এবার বুঝেছেন তো হলুদ খেতে কেনো বলে থাকেন চিকিৎসকরা ।
Comments
Post a Comment